‘টাকা নিয়ে’ প্রার্থীকে জেতানোর আশ্বাস দেওয়া কর্মকর্তা বরখাস্ত

সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার একটি অডিও ফাঁসের পর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2022, 10:41 AM
Updated : 21 Feb 2022, 10:45 AM

সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের উপজেলায় বালারহাট ইউনিয়নের এক সদস্য পদপ্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তার গোপন কথাবার্তার অডিওটি ২ ফেব্রুয়ারি ফাঁস হওয়ার পরদিন তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল; এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত এলো।

রংপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন সোমবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোটে প্রার্থীকে জেতাতে নির্বাচন কর্মকর্তার হান্নানের গোপন চুক্তির অডিও ফাঁস বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার কারণে শনিবার নির্বাচন কমিশনের এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।“

তিনি আরও বলেন, “হান্নানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।”

এর আগে সোশাল মিডিয়ায় আসা এই অডিও কথোপকথনের সত্যতা সদস্য পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম স্বীকার করলেও মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান অস্বীকার করেছিলেন।

ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে এক প্রান্ত থেকে বলতে শোনা যায়, নির্বাচন করতে গেলে প্রতিদিনই ১০ হাজার করে টাকা ব্যয় হবে এবং তাতে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। তারপরও জেতার নিশ্চয়তা নেই। বরং তার সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করলে তিনি যেভাবেই হোক জিতিয়ে দেবেন।

ফোনে বলা এই কণ্ঠটি হান্নানের বলে দাবি করেছেন রফিকুল ইসলাম; যিনি বালারহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের সদস্য প্রার্থী ছিলেন। 

রফিকুল দাবি করেন, ভোটে জেতার জন্য দুই দফায় এলাকার একজন শিক্ষকের মাধ্যমে ওই নির্বাচন কর্মকর্তাকে সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি।

তবে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হান্নান বলেছিলেন, একটি পক্ষ বানোয়াট অডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি রফিকুলের কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি।

‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টার’ কারণে রফিকুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।