সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ সড়কের ডাকবাংলোর সামনে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলেও পরে তা প্রধান সড়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে; দুই ঘণ্টাব্যাপী এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৯টার কিছু আগে মিছিল করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রায়পুর গাজী মার্কেট থেকে সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যায়। সেখানে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করে ফেরার পথে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়।
এ সময় সেখানে থাকা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী তাতে বাধা দেয়। আর তখনি উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা শহরের প্রধান সড়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক জানান, আহতদের মধ্যে ১৩ জন সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তারা হলেন- ফয়সাল আহমেদ, মুরাদ হোসেন, শান্ত ইসলাম, রিয়াজ, মো. সজিব, সোহেল হোসেন, শিমুল, মো. জুম্মন, সোহেল আহম্মদ, এমরান, মিরাজ, নিলয় বিন বাঙালি, আলাউদ্দিন।
খবর পেয়ে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট।
এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। আহত আট থেকে ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিনা উসকানিতে এই হামলা চালানো হয়েছে।”
পাল্টা অভিযোগ তুলে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা উশৃঙ্খল স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছে। তারা লাঠিসোঠা নিয়ে জড়ো হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে।”