শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর সার্কিট হাউসের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এই সংঘর্ষ হয়।
রোববার অনুষ্ঠেয় জেলা সম্মেলনে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেন শফিকুল ইসলাম শিমুল ও শরিফুল ইসলাম রমজান।
পুলিশ, আওয়ামী লীগ কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মেলন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে সার্কিট হাউস চত্বরে ঢোকেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল ও শরিফুল ইসলাম রমজানের কর্মী সমর্থকরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। উভয় পক্ষ নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তারা কিল, ঘুষি ও লাথি দেওয়ার পাশাপাশি প্ল্যাকার্ডের কাঠের অংশ দিয়ে প্রতিপক্ষকে মারধর করে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাগ্নে নাফিউল ইসলাম অন্তর (২৬), নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু (৩৬), পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান (৪৮) ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদের শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংঘর্ষ ও হট্টগোলের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় তার পাশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানও উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কামাল হোসেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, অন্যান্য সাংসদদের নিয়ে সার্কিট হাউসের দোতলায় উঠে যান।
ঘটনার পর জেলার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সার্কিট হাউজে যান। এর কিছুক্ষণ পরে সভাপতি ও সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে পুলিশ পাহারায় সার্কিট হাউস ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, “কেউ বিশৃংখলা করার চেষ্টা করলে তাকে প্রতিহত করা হবে। যেকোনো প্রকারে শান্তিপূর্ণভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে।”
এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী আব্দুল মালেক শেখ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহর থেকে সার্কিট হাউসের দিকে যাচ্ছিলেন। শহরের মাদ্রাসা মোড়ে পৌঁছলে এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ট এক যুবলীগ নেতা তাকে পিস্তল নিয়ে তেড়ে আসেন। এ সময় লোকজন জড়ো হয়ে যায়; এবং তিনি গুলি না করে (আব্দুল মালেককে) গালাগাল দিতে দিতে চলে যান।