শেরপুরের গারো পাহাড়ে বন্যহাতির মৃতদেহ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় সংলগ্ন সীমান্তে একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2022, 10:12 AM
Updated : 19 Feb 2022, 10:12 AM

শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী বিটের আঠারো ঝোড়া এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ।

ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদি হাতিটির বয়স সাত-আট বছর। হাতিটি আনুমানিক একদিন আগে মারা গেছে। হাতিটির দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই।

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হাতিটির মৃত্যু হতে পারে। নমুনা নেওয়া হয়েছে। ল্যাবে পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।” 

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মারা গেছে ৪৩টি হাতি। যার মধ্যে ১৬টি চট্টগ্রামে এবং বাকিগুলো বান্দরবান ও কক্সবাজারে।

এসব হাতির মধ্যে ১৯টি অসুস্থতাজনিত কারণে, পাঁচটি বার্ধক্যজনিত এবং অন্যগুলো মানবসৃষ্ট কারণে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে ডুবে কিংবা পাহাড় থেকে পড়েও বেশকিছু হাতির মৃত্যু হয়েছে।

বন বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, এ তিন বছরে নয়টি হাতি মারা হয়েছে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতে। যার মধ্যে চারটি চট্টগ্রামে, একটি বান্দরবানের লামায় ও বাকি চারটি হাতি হত্যা করা হয়েছে কক্সবাজারে।

এই অবস্থার মধ্যে আরও একটি হাতির মৃত্যুর খবর এল।

রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ গণমাধ্যমকে দুপুরে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১১০২ নম্বর পিলারের কাছে আঠারো ঝোড়া নামক এলাকার ঝোড়ায় (নালায়) কয়েকজন রাখাল একটি বন্যহাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি তারা বন বিভাগকে জানায়।

এলাকাটি গভীর অরণ্য হওয়ায় রাতে খোঁজ-খবর নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান মকরুল।

তিনি আরও জানান, হাতিটির ময়নাতদন্তের পর ঘটনাস্থলের পাশেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন, শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ, ঝিনাইগাতী থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান, কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আইইউসিএন জরিপ অনুযায়ী, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বন্যহাতির সংখ্যা ছিল ২৬৮টি।

এ ছাড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন ৮২টি, চিড়িয়াখানায় তিনটি ও দেশের দুটি সাফারি পার্কে ১১টি হাতি রয়েছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কিছু হাতির প্রজনন হয়েছে বলেও মনে করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: