বসন্তে তারুণ্য মেতেছে প্রাণের উচ্ছ্বাসে

ফুলের সাজে, হলুদ পোশাকে ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে তরুণ-তরুণীরা। নিজেকে যেমন বাসন্তী পোশাকে সাজিয়েছে, তেমনি ভালোবাসার মানুষকে ফুলের উপহারে ভরিয়ে তুলেছে। 

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2022, 04:04 PM
Updated : 14 Feb 2022, 04:37 PM

বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বরাবরের মতো এই দিনে ফুলের চাহিদা বেশি। তাই দামও বেশি গুনতে হয়।

এই দিনটিকে ঘিরে দেশের নানা স্থানের মতো বগুড়ার ফুলের বাজারও যেন মেলায় পরিণত হয়েছে।

সোমবার ভালোবাসা দিবসে ফুল কিনতে তরুণ-তরুণীরা ফুলের বাজারে ভিড় করছে। বরাবরের মতো এই সুযোগে বিক্রেতারা ফুলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ইচ্ছেমতো।

সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার বিকাল থেকে বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্ক সংলগ্ন ফুল বাজারে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়। সোমবার সকাল থেকে ফুল বাজার যেন মেলায় পরিণত হয়েছে।

রোববার বাজারে গোলাপের দাম একটু কম থাকলেও সোমাবার দেশি বিদেশি গোলাপের চাহিদার সঙ্গে দামও আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। কিন্তু ক্রেতাদের দামের কারণে কোনো ক্ষোভ দেখা যায়নি। বরং পছন্দের গোলাপ কিনতেই ব্যস্ত ছিলেন তারা। কিশোর-কিশোরীদের উপস্থিতি বেশি হলেও সব বয়সীদের ফুল বাজারে গোলাপ কিনতে দেখা গেছে।

ফুল বাজারে কথা হয় সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রী ফারজানা হকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, বন্ধুদের গোলাপ উপহার দিতে দুটি চায়না গোলাপ দুশ টাকায় এবং দুটি থাই গোলাপ তিনশ টাকায় কিনেছেন।

এত বেশি দামে ফুল কেনায় কোনো ক্ষোভ হয় কিনা জানতে চাইলে ফারজানা বলেন, “দাম দেখে লাভ কী। ভালোবাসা দিবসে গোলাপ শুভেচ্ছা দিব এটাই বড় কথা।”

শহরের মালতি নগরের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী পারভেজ বিশটি গোলাপ কিনেছেন।

এত গোলাপ কেনার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “বিদেশি গোলাপের দাম বেশি। তাই ৩০ টাকা করে এতগুলো দেশি গোলাপ নিলাম বান্ধবীর জন্য। বিদেশি গোলাপ বড় এবং দাম বেশি, তবে গন্ধ নেই। দেশি গোলাপ অল্প দামে অনেকগুলো পেলাম। আর দেশি গোলাপের গন্ধও আছে।”

বিক্রেতা লক্ষ্মণ দাশ অমিক বলেন, “গত বছর গোলাপের দাম কম ছিল। প্রতিটি দেশি গোলাপ দশ টাকা করে বিক্রি করেছি। এবার আমদানিও বেশি দামও বেশি। প্রতিটি দেশি গোলাপ ত্রিশ টাকা, থাই গোলাপ একশ থেকে দেড়শ টাকা, চায়না গোলাপ আশি থেকে একশ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।”

অমিক আরও জানান, থাই ও চায়না গোলাপ আমদানি করা হলেও দেশি গোলাপ বগুড়া এবং যশোরের গদখালী থেকে ক্রয় করা হয়।

বিক্রেতা মো. মোখছুর রহমান বাটু জানান, দাম বেশি হলেও গোলাপ বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। অন্যান্য ফুল কিনলেও গোলাপের চাহিদা বেশি। এবার গোলাপ বিক্রিতে ভালো লাভ হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, দুপুর পর্যন্ত কোনো কোনো দোকানদার ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার শুধু গোলাপই বিক্রি করেছেন। রাত ১২টা পর্যন্ত বিক্রি চলবে।