রোববার দুপুরে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান ফলাফল তুলে ধরে বলেন, “২০২০ সালে অটো পাশ থাকায় পাশের হার ছিল শতভাগ। তবে ২০১৯ সালের তুলনায় এবার পাশের হার বেড়েছে। ২০১৯ সালে পাশের হার ছিল ৭১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।”
তিনি আরও জানান, “এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও বেড়েছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন। ২০২০ সালে অটো পাশ ফলাফলে জিপিএ-৫ ছিল ১৪ হাজার ৮৭১ জন। এর আগে ২০১৯ সালে ছিল চার হাজার ৪৯ জন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন। পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এবারের ফলাফলে পাশের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ভালো করেছে বলেও জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
তিনি বলেন, “ছাত্রদের পাশের হার ৯০ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ২৪৩ জন। ছাত্রীদের পাশের হার ৯৪ দশমিক ১০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ১১৭ জন।
“এইচএসসি পরীক্ষায় এই বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৬৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশ করেছে এক লাখ চার হাজার ৪৮৪ জন।”
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আর জানান, একজনও পাশ করেনি এমন কলেজের সংখ্যা দুটি এবং শতভাগ পাশ করেছে এমন কলেজের সংখ্যা ৫৩টি।
২০২০ সালে দেশে মহামারীর প্রকোপে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তবে ২০২১ সালে পরীক্ষা ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পরের ধাপে পাঠাতে চায়নি সরকার। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অপেক্ষায় আট মাস পিছিয়ে যায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বাংলা ও ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা এবার নেওয়া হয়নি। তার বদলে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সেসব বিষয়ের মূল্যায়ন করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।