ফারুক হত্যা মামলা: টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তির অন্তবর্তী জামিন

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে অন্তবর্তীকালীনন জামিন দিয়েছে আদালত।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2022, 05:40 AM
Updated : 11 Feb 2022, 06:15 AM

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

‘শারীরিক ও মানবিক দিক বিবেচনায়’ শর্ত সাপেক্ষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত মুক্তিকে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহমেদ জানান।

মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খানের ভাই এবং ওই আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ আতাউর রহমান খানের ছেলে।

ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ছয় বছর আত্মগোপনে থাকবার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর টাঙ্গাইল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ১৪ মাস ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাকি মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুক্তিকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রানি দাসের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

কিন্তু সাক্ষী না আসায় বিচারকের কাছে মুক্তির জামিন প্রার্থনা করে শারিরীক অসুস্থতার কথা জানিয়ে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান এ সময় জামিনের বিরোধিতা করেন। বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে শর্ত সাপেক্ষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।”

আব্দুল বাকি বলেন, “গত ১৮ অগাস্ট কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর মুক্তিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে তাকে আবার টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।”

মুক্তির চিকিৎসার বিষয়ে আমানুর রহমান খান রানা বলেন, “আমার ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো না। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হবে।”

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের অগাস্টে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আদালতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।