চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য গেল ভারত

কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌ-বন্দরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পাঁচ বছর পর প্রথম বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে একটি নৌযান ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2022, 06:57 PM
Updated : 8 Feb 2022, 06:57 PM

নৌ-বন্দরের রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল নৌ-পয়েন্ট থেকে গত সোমবার দুপুর ১টায় ‘সান আবিদ-১’ নামের নৌযানটি ২৭ মেট্রিক টন ঝুট নিয়ে যাত্রা শুরু করে ভারতের ধুবড়ির উদ্দেশে।

শেরপুরের ‘তুলার মিল’ নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এই ঝুট রপ্তানি করে বলে বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা তাপস কুমার সাহা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা তাপস কুমার সাহা ও রতন কুমার শীল, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুব-এ-খোদা ও আসাদুল হক ফিরোজ, লিজেন্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান মমিন।

পরে চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, চিলমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বন্দরে এসে খোঁজখবর নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে এই নৌবন্দরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

বন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা তাপস কুমার সাহা বলেন, “প্রথম দফায় পরীক্ষামূলকভাবে রপ্তানি কার্যকম শুরু করতে পারায় খুশি আমরা। আসামের সাথে নৌ-পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ভবিষ্যতে রড-সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।”      

চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বলেন, “আমি ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হলাম। দেশ ভাগের পর ঐতিহাসিক চিলমারী নৌ-বন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। আজ আমার জীবদ্দশায় আবারও আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়া ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারই বাস্তবায়ন হলো আজ। এখন দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়ন করা দরকার চিলমারী নৌ-বন্দরের।”

২০১৭ সালে চিলমারী সফরে এসে নৌ-বন্দরটি চালুর প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একই বছর চিলমারী নৌ-বন্দরের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তৎকালীন নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খান। এ সময় চিলমারী নৌ-বন্দরের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৩শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর থেকে ভারতের ধুবড়ি ট্রানজিট ব্যবহার করে ভুটান থেকে পাথর ভ্যাসেলে করে শুধু আমদানি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বাংলাদেশ।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত ৬/৭ মাস শুধু ভারত থেকে রৌমারী ও চিলমারী নৌ-বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি হতো। এতে প্রতিমাসে গড়ে ৩০টি ভ্যাসেলে করে পাথর আমদানি হতো। বন্দর পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা রাজ্যসহ ভুটান ও নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ বাড়বে।