এই ক্লিনিকে রাশিদা বেগম নামে এক প্রসূতিকে সিজারিয়ানের সময় রক্ত দেওয়া হয় শনিবার। অপারেশনের পরপর নবজাতক ও রোববার প্রসূতি রাশিদা বেগম মারা যান।
এই ঘটনায় মারা যাওয়া প্রসূতি রাশিদা বেগমের স্বামী রমজান শেখ ঢাকার সভার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এছাড়া সোমবার রাতে চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনী ও ক্লিনিক মালিক সাইফুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, গত শনিবার মাগুরা শহরে নিউ আল বারাকা ক্লিনিকে প্রসূতির সিজার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের আগে তাকে রক্ত দেওয়া হয়। অপারেশনের পরপর নবজাতক মারা যায়। পরে অসুস্থ প্রসূতি রাশিদা বেগমকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রোববার তিনিও মারা যান।
মাগুরার সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান, নিউ আল বারাকা ক্লিনিকে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মাগুরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম আগামী সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুর কারণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখে এ বিষয়ক প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই ক্লিনিক এবং সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় অবৈধ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গত ৩১ জানুয়ারি জেলা শহরের সাতটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গতকাল সোমবার একই কারণে ‘পলি ক্লিনিক’ ও ‘জননী ক্লিনিক’ নামে দুটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
“এ দুটি ক্লিনিকের মধ্যে পলি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের পর লাইসেন্স নবায়ন করেনি। জননী ক্লিনিকের কোন লাইসেন্সই নেই।”