অন্যান্য অনেক সারের
মধ্যে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) উল্লেখযোগ্য।
তবে কৃষি অধিদপ্তর
সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, তাদের
কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হলেও ডিলাররা কোনো রসিদ দিচ্ছেন না। রসিদ চাইলে তার
কাছে কোনো সার বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। ডিলারদের কাছে এভাবে জিম্মি হয়ে
অনেকেই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।
জেলার সাদুল্লাপুর
বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা বিধু চন্দ্র সরকার, জয়নাল আবেদিন বাবু মিয়া ও সুমন চন্দ্র
সাহার অভিযোগ, ডিলাররা তাদের কাছে বেশি দাম রাখায় তারা বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।
তবে এ বিষয়ে একই উপজেলার
বিসিআইসি সার ডিলার দোলন চন্দ্র প্রামানিক বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে
বাজারে সারের সংকট তৈরি হয়েছে।
চলতি আমন ও রবি মৌসুমে
গাইবান্ধা জেলায় আলু, ভুট্টা, ধানসহ ব্যাপক সবজির উৎপাদন হয়। এসব ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে
জমিতে কৃষকেরা টিএসপি, এমওপি, ডিএপি ও ইউরিয়া সার ব্যবহার করেন।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি
অধিদপ্তরের উন্নয়ন শাখায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদার রহমান বলেন, জেলায়
চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর।
কৃষকরা এখন জমি শেষ চাষের আগে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি)
সার ছিটিয়ে দিবেন। এরপর রোপন করবেন বোরো ধান। এছাড়া মাঠে রয়েছে ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর
আলু, ৩ হাজার ১৮৫ হেক্টর গম, ১৫ হাজার ৩০০ হেক্টর ভুট্টা ও ৮ হাজার ৬০০ হেক্টর শাকসবজি।
এতেও কৃষকরা সার ব্যবহার করছেন।
তিনি আরও জানান, জেলায়
চলতি জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৪১৪ মেট্রিক টন টিএসপি, ৩ হাজার ২৮৭ মেট্রিক টন এমওপি,
৬ হাজার ১০৭ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ৮ হাজার ৮২৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ দেওয়া
হয়েছে। জেলার ডিলারদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪৩৬ মেট্রিক টন টিএসপি, ১ হাজার ৭০৫
মেট্রিক টন এমওপি, ২ হাজার ৯৩৩ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ৪ হাজার ৯২২ মেট্রিক টন ইউরিয়া
সার সরবরাহ করা হয়েছে।
“এসব সার বিসিআইসির
১১১ জন এবং বিএডিসির ১১৮ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।”
গাইবান্ধার ফুলছড়ি
উপজেলায় কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, সরকার প্রতি বস্তা
(৫০ কেজির বস্তা) টিএসপি সারের খুচরা মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা (২২ টাকা প্রতি কেজি),
এমওপি প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা (১৫ টাকা কেজি), ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ইউরিয়া
প্রতি বস্তা ৮০০ টাকা (১৬ টাকা কেজি) নির্ধারণ করে দিয়েছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলার
হবিবুল্লাপুর গ্রামের কৃষক সুজাত আলী আকন্দ বলেন, ডিলার ও খুচরা সার বিক্রেতারা দোকানে
মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখলেও সেই অনুযায়ী বিক্রি করছেন না। তারা প্রকাশ্যে ট্রিপল সুপার
ফসফেট (টিএসপি) প্রতি কেজি ২২ টাকা স্থলে ৩০ টাকা ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) ১৫ টাকার
স্থলে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার
বল্লমঝাড় ইউনিয়নের জানপাড়া গ্রামের কৃষক সবুজ মিয়া বলেন, শনিবার সদর উপজেলার সাহার
বাজার ও পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর উপজেলা সদরের বাজার ঘুরে ১ কেজি মিউরেট অব পটাশ
(এমওপি) সার পান নাই তিনি।
সাদুল্লাপুর উপজেলার
মন্দুয়ার এলাকার কৃষক সৈয়দ আলী বলেন, তিনি শনিবার সাদুল্লাপুরে এক ডিলারের দোকানে এক
বস্তা টিএসপি ও এক বস্তা মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) কিনতে যান। প্রথমে ডিলার তাকে মিউরেট
অব পটাশ (এমওপি) সার নেই বলে জানিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলার পর ডিলার তাকে
দুই বস্তা সার বের করে দেন।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. বেলাল হোসেন জানান, জেলায় সারের কোনো সংকট
নাই। তারপরও এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠল
বিরোধ: মাদারীপুরে দুজনকে কুপিয়ে আহত
কক্সবাজার শহরে দস্যুতা-লুণ্ঠনের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ২ কিশোরের মৃত্যু
কক্সবাজারে র্যাবের মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার সড়কে বাইক ও প্রাইভেট কার থামিয়ে ডাকাতি
গাজীপুরে ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারধর’ কিশোরীকে
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার আসামির বিরুদ্ধে পিপির জিডি
