শনিবার বিকালে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন আলি।
রোববার বিকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনাটি আমরা অবগত আছি। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জমির মালিকদের একজন মিলন হোসেন দাবি করেন, “মৃত তাছের আলী বিশ্বাস ১৯৮১ সালে গ্রামের অমূল্য কুমার বিশ্বাস, নিত্যানন্দ বিশ্বাস ও বিবেকানন্দ বিশ্বাসের কাছ থেকে সাড়ে তিন বিঘা জমি কিনেন।“
তিনি বলেন, “আমি, শহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, নাজমুল ফিরোজ, মতিয়ার রহমান বিশ্বাসসহ কয়েকজনের নামে জমির হাল রের্কড আছে।”
প্রতিপক্ষের লোকজন ওই জমি নিজেদের দাবি করে শনিবার জোর করে সেখানে থাকা ১৭০টি বড় বড় মেহগনি ও ৪০০ ধরন্ত কলাগাছ কেটে দেয়। এতে আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
থানায় যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে প্রতিপক্ষ হিসেবে গ্রামের বাসিন্দা আফজাল মণ্ডল, বাহাদুর ওরফে বলাই মণ্ডল, কানাই মণ্ডল, মজিবুর রহমান প্রমুখের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তাদের কারো সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
শহিদুল ইসলাম নামের একজন বলেন, “আমরা যে জমি ভোগদখল করছি সেটা তাছের বিশ্বাস ১৯৮১ সালে কিনেছেন। তার ওয়ারিশান হিসেবেই আমরা ওই জমি ভোগদখল করছি।”
প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। সব কাগজপত্র যার থাকবে সেই জমি পাবে। জোর করে গাছ কেটে দেওয়া কোনো মানুষের কাজ না।