উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী-ফেরাজীপাড়া এলাকায় শুক্রবার মধ্য রাতে এ ঘটনায় দগ্ধ ওই নারীকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সাটুরিয়া থানার ওসি আশরাফুল আলম জানান।
ওই নারীর বাড়ি উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী-ফেরাজীপাড়া এলাকায়।
মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন, “মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে দুই বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জামাই যৌতুকের জন্য মেয়েকে চাপ দিচ্ছিল। পরে পারিবারিকভাবে ‘মাদকাসক্ত’ স্বামীর সঙ্গে মেয়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
“এরপর থেকে প্রায়ই রাস্তাঘাটে মেয়েকে তার সাবেক স্বামী বিরক্ত করত। সংসার না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দিত। এর জের ধরেই শুক্রবার রাতে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে ‘এসিড মেরে’ মেয়ের মুখ ও হাত-মুখ ঝলসে দেয় সে।”
ভুক্তভোগীর বড় ভাই বলেন, তার বোন ধামরাই উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। অফিসে যাওয়া আসার সময় রাস্তা-ঘাটের বিভিন্ন জায়গায় তাকে তার সাবে স্বামী বিরক্ত করত। এমনকি তাকে আবার বিয়ে করে সংসার করার জন্য চাপ দিত।
“আমার বোন এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসিড মেরে তার হাত ও মুখ ঝলছে দিয়েছে।”
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আাবাসিক চিকিৎসক কাজী একেএম রাসেল বলেন, দাহ্য পদার্থে মেয়েটির হাত-মুখ ঝলসে গেছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি আশরাফুল জানান।