কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
শনিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “রাজশাহী জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত সকল নির্দেশনা প্রতিপালনসহ রাজশাহী জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলায় সকল বিপনীবিতান, শপিংমল, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ২৯ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাত ৮টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে বন্ধ থাকবে।”
শনিবার সকালেই জানানো হয়েছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রাজশাহী জেলার ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১২০ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এ শনাক্তের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বুধবার রাজশাহীতে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ছিল ৬০ দশমিক ৩৯ শতাংশ; মঙ্গলবার ছিল ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং গত সোমবার রাজশাহী জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ছিল ৫৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এই অবস্থার মধ্যেই সন্ধ্যার পর দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত এল।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটি জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য শুক্রবার রাতেই মাইকিং করে জানানো হয়েছে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এ ছাড়া সেটি মনিটরিং করার জন্য টিমও গঠন করা হয়েছে।