নিহত বশির আহমদ (২৪) কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী গ্রামের মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। সৌদি আরবের আল কাসিম শহরের বুরাইদা এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন তিনি।
বুধবার রাতে বশিরের বড় ভাই সৌদি আরব প্রবাসী মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, সৌদি আরবের আল কাসিম শহরের বুরাইদা এলাকায় গত রোববার রাতে তার ভাইকে হত্যা করা হয়। পুলিশ দুদিন পর খবর পেয়ে মঙ্গলবার বশিরের লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন সকালেই সৌদি পুলিশ এ ঘটনায় দুই পাকিস্তানি ও এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা গলাকেটে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।
এদিকে বশিরের মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তার মা কমলা বিবি ছেলের শোকে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীরা বশিরের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছেন।
বশিরের মা বলেন, “প্রায় পাঁচ বছর আগে কাজের জন্য সৌদি আরবে যায় চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট বশির। সেখানে কাসিম শহরের বুরাইদা এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি কয়েকজন শ্রমিক সহকর্মীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। প্রতিষ্ঠানটির একটি একটি ক্যাম্পে তাদের সঙ্গেই থাকত বশির। রোববার রাতে ওই বন্ধুরা আমার ছেলেকে শহরের কোন এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে।”
তিনি বলেন, “আমার ভাই কয়েক মাস বাড়িতে টাকা পাঠায়নি। তার কাছে অনেকগুলো টাকা ছিল। ওই টাকার লোভে আমার ভাইকে গলাকেটে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।”
এ বিষয়ে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুন নাহার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। বশিরের পরিবার তাদের যোগাযোগ করলে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।