শাবি শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মোকাব্বির

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবিকে ‘যৌক্তিক’ উল্লেখ করে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2022, 02:01 PM
Updated : 25 Jan 2022, 02:01 PM

সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনের সাংসদ মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সংহতি প্রকাশ করেন।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। পরে একপর্যায়ে তা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীভূত হয় এবং গত বুধবার আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সপ্তম দিনের মতো অনশন চলছে।

এই আন্দোলন নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা করেন আইনপ্রণেতারা। তাদের কেউ কেউ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

আন্দোলনের এই সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা ক্যাম্পাসে গেলেও মোকাব্বিরই প্রথম সংসদ সদস্য, যিনি সরাসরি গিয়ে সংহতি জ্ঞাপন করলেন। 

সংহতি প্রকাশ করে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা অনুযায়ী, তাদের দাবিকে যৌক্তিক দাবি বলে মনে করছি। এখানে কোনো ধরনের রাজনীতি আছে বলে আমার মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এগিয়ে আসেন সব সমস্যা সমাধানে। তিনি চাইলেই এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে পারেন।“

পরে সাংসদ সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা অবস্থান করেন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।

এ সময় গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুরাইয়া বেগমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলন শুরুর তিনদিনের মাথায় শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

এরপর ওইদিন বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ।

ধাওয়া-পাল্টার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার তাদের অনশনের সপ্তম দিন চলছে।