নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে তারা এই সাক্ষ্য দেন বলে পিপি মো. রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান।
তারা হলেন সোনারগাঁর রয়েল রিসোর্টের নিরাপত্তা প্রহরী ইসমাইল হোসেন, রিসোর্টের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু।
গত বছর ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ লোকজন।
পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতকর্মী ও মাদ্রাসাছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালায়। তারা ভাংচুর চালিয়ে মামুনুলকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও ভাংচুর করে। তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা হয়। পুলিশ চার শতাধিক গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পিপি রকিব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধষর্ণ মামলায় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এ মামলার বাদীসহ পাঁচজন মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
মামুনুলকে সরকার কাশিমপুর কারাগারে রাখে। সেখা থেকে সকালে নারায়ণগঞ্জে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুপুরে আদালত থেকে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
পিপি রকিব বলেন, সাক্ষীরা আদালতে ঘটনার সময়ের নানা তথ্য তুলে ধরেছেন। আদালত তাদের স্বাক্ষ্য নথিভুক্ত করেছে।
তবে মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন দাবি করেন, আদালতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা মামুনুল হককে ফাঁসাতে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেছেন।
আরও