মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ খোকন পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী বাটু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা খোকন পার্কের শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশন করছিলেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী পার্কের দক্ষিণ গেটে স্লোগান দেন। তখন সহিংসতা এড়াতে পুলিশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে বাইরে বের করে দেন।
বাটু মিয়া আরও জানান, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে পোস্ট অফিসের সামনে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদলকে ধাওয়া দিয়ে দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী রিগান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ছাত্রদল প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাতে বাধা দেন। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সদ্যবিদায়ী সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস বলেন, “প্রতিদিনের মতো ছাত্রলীগ কর্মীরা খোকন পার্কের গেটে চা খাচ্ছিলেন। আমি দলীয় কার্যালয়ে খবর পাই সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
“পরে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শান্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। তবে কোভিডের কারণে যেখানে সভা-সমাবেশ বন্ধ সেখানে কার নির্দেশে ছাত্রদল কর্মসূচি পালন করে এবং ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলা করে?”
এসআই মঞ্জুরুল বলেন, “দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলকে বুঝিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় গেটে হট্টগোল বাধে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”