নবনির্বাচিত চার চেয়ারম্যানকে শপথ গ্রহণের পর রাঙামাটি শহরে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদাছ্ছের হোসেন।
২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলিতে খুন হন শক্তিমান চাকমা। একদল খুনি মোটরসাইকেলে এসে কার্যালয়ের সামনে তাকে গুলি করে চলে যায়।
গ্রেপ্তারকৃত চার চেয়ারম্যান হলেন রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কানন চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা ও সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুপম চাকমা।
মঙ্গলবার দুপুরে তারা রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে আসেন। শপথ গ্রহণ শেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা চারজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
পুলিশ সুপার বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত সবার বিরুদ্ধে শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠিয়েছে।”
পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছিল জানিয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, “আমরা তাদের গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছিলাম। আজ একসঙ্গে পেয়েছি। তবে তারা যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সেহেতু আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
শক্তিমান চামকমাকে হত্যার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) বরাবরই প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ি করে আসছে। তবে ইউপিডিএফ সব সময়ই অস্বীকার করছে সেই অভিযোগ।