ঝিনাইদহে নিরাপত্তা চেয়ে জিডির পর ‘খুন’ হলেন মামলার সাক্ষী

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করার পর মামলার সাক্ষী এক যুবলীগ নেতা ‘খুন’ হয়েছেন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2022, 03:23 PM
Updated : 24 Jan 2022, 03:23 PM

নিহত পীর আলী (৩০) উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সম্পাদক। ইউনিয়নের নলভাঙ্গা গ্রামের শমসের আলীর ছেলে তিনি।

সোমবার সকালে গ্রামের খালপার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কালীগঞ্জ থানার ওসি মতলেবুর রহমান।

ওসি পরিবারের বরাতে বলেন, পীর আলী রোববার সকালে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর ফেরেননি। সোমবার সকালে গ্রামের খালপাড়ে তার মরদেহ পড়ে আছে বলে খবর পান পরিবারের সদস্যরা।

“সেখানে গাছের ভাঙ্গা ডালের সঙ্গে রশির এক মাথা বাঁধা ছিল। অপর মাথা পীর আলীর গলায় পেঁচানো ছিল। তবে হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।”

পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর মেয়েদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় হামলা চালিয়ে শাহিনুর বিশ্বাস নামে এলাকার এক ব্যক্তির দুই পায়ে হাতুড়ি পেটা করা হয়। পরে দুই পা কেটে ফেলেন চিকিৎসক। সে ঘটনায় মামলায় ১৮ আসামির মধ্যে কামাল হোসেনও একজন। আর পীর আলী সেই মামলার সাক্ষী। মামলাটির বিচার চলছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য পীর আলীকে সম্প্রতি নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পীর আলী নিরাপত্তা চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় জিডি করেন।

পীর আলীর পরিবারের অভিযোগ, পরী আলীকে হত্যা করা হয়েছে। কামাল হোসেন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

তবে কামলা হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পীর আলীর সঙ্গে শত্রুতা ছিল না দাবি করে কামাল বলেন, “আমরা দুইজন একই দল করি। কিভাবে পীর আলীর মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারি না।”

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তবে পীর আলীর পরিবার এখনও থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার সাঈদ।