শার্শার ২৬ হাজার ১৩৫ শিক্ষার্থী কোভিড টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে

যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে ২৬ হাজার ১৩৫ জন শিক্ষার্থী করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2022, 10:21 AM
Updated : 22 Jan 2022, 10:53 AM

গত ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে শার্শার নাভারন ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদানের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

সবশেষ গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বাগআচড়া ডা. আফিল উদ্দিন কলেজে প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থীকে কোভিড টিকা দেওয়া হয় বলে শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী হাফিজুর রহমান জানান।

তিনি বলেন, “উপজেলার সবগুলো স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ১২ থেকে ১৮ বছরের ২৬ হাজার ১৩৫ জন শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

“এছাড়া ২ হাজার ৩৪ জন শিক্ষার্থী টিকা কেন্দ্রে আসেনি। তাদের জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

শার্শার ২৬ হাজার ১৩৫ জন শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুজ্জামান বলেন, উপজেলার ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি হাইস্কুলের ১৯ হাজার ৯২৬ জনের মধ্যে ১৮ হাজার ৯৪৬ জন শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করেছে।

এছাড়া ৩০টি মাদ্রাসার ৬ হাজার ৫০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৪ জন এবং ৯টি কলেজের ১ হাজার ৬৯৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৪২৫ জন টিকা গ্রহণ করেছে।

টিকা প্রদানের সময় অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “এসব টিকাদান কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই ছিল না। যেন উৎসব চলছিল। নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৯ হাজার কিশোর-কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হয়।”

এদিকে টিকা পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মুসলিমা খাতুন (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টিকা পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে ধণ্যবাদ।”

অনামিকা আফরিন ছোঁয়া নামের দশম শ্রেণীর আরেক ছাত্রী বলেন, “টিকা দিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত মনে হচ্ছে। এত দিন বড়রা টিকা নিয়েছেন। এখন আমরাও নিলাম। এরপর থেকে স্কুল কিংবা বাইরে যেতে ভয় করবে না।”

সন্তানদের টিকা দিতে পেরে অভিভাবকেরাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক বখতিয়ার খলজি নামের এক অভিভাবক বলেন, “এখন নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই ছেলেকে টিকা দিতে পেরে ভালো লাগছে।”