শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: শিক্ষকদের আলোচনা চেষ্টা নিস্ফল 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচানার জন্য শিক্ষকদের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টা নিস্ফল হয়েছে।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2022, 08:52 PM
Updated : 19 Jan 2022, 08:52 PM

বুধবার রাতে সাড়ে ৮টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীসহ সাবেক শিক্ষার্থীও অবস্থান করছেন।

একই দিন সাতঅনুষদের ডিনগণ গত কয়েক দিনে সংঘটিত ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনরত এবং তাদের সঙ্গে থাকা আন্দোলনরত পাঁচ শতাধিক অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে যান কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল শিক্ষক।

কিন্তু শিক্ষার্থীদের টানা স্লোগানে শিক্ষকরা কিছু বলতে চেষ্টা করলেও কেউ তাতে কর্ণপাত করেননি।   

কোষাধ্যাক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম হ্যান্ডমাইক নিয়ে কিছু বলতে গেলেও শিক্ষার্থীরা শোনেননি।  

এই সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকরা আগে তাদের আন্দোলনে একত্মতা প্রকাশ করার শর্ত দেন।  

শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করলে বলুন 'ইয়েস',  আর না হলে 'নো'। 

কিন্তু শিক্ষকরা ইয়েস কিংবা নো কিছুই বলেননি।  

শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে নানা ধরনের স্লোগান দেন।

রাত ১১টা ১৫ মিনিটে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের জায়গা থেকে একটু দূরে গিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন কোষাধ্যাক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম। 

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা জানেন না এই হামলার জন্য দায়ী কে। তারা চান এই ঘটনার তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দায়ী ব্যক্তি চিহ্নিত হোক। তদন্তে যিনিই দায়ী হবেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারা শিক্ষার্থীদের এই কথাটিই বলতে এসেছিলেন বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। তার ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে নামেন।

আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে এসে এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন।