মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার মো. আলী হোসেনের ছেলে জীবন (২৩), একই থানার মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার শওকত আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৫) ও আসলাম মিয়ার ছেলে জুম্মন মিয়া (২২)।
বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, পটুয়াখালী জেলার লেবুখালীতে সেনাবাহিনীর শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সৈনিক (কুক) শাহীন আলম (২২) সাত দিনের ছুটি কাটাতে শনিবার রাতে নিজ বাড়ি চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন। রাত বেশি হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় বন্ধু ফারহাবিবের বাসায় রাত্রিযাপনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
“মৌচাক বেঙ্গল প্যাসিফিক লিমিটেড কারখানার পাশে ১০ তলার মোড়ে পৌঁছালে ছিনতাইকারী জীবন, সুমন ও জুম্মন শাহীনের পথরোধ করেন। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করা হয় তাকে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচে ভোর সাড়ে ৫টায় শাহীন মারা যান।”
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান।
তিনি গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা শাহীন আলমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ‘সুইচ গিয়ারটি’ উদ্ধার করা হয়েছে।”
তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।