মঙ্গলবার রাতে মান্দা উপজেলার নুরুল্লাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আশরাফুল ইসলাম সুটকা (৪৫) ওই এলাকার বাসিন্দা।
গত ৬ জানুয়ারি উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়।
শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মান্দা থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৬ জানুয়ারি প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ৯ জানুয়ারি রাতে গ্রামে সালিশের আয়োজন করেন স্থানীয় মাতবরেরা। সালিশে ধর্ষণের কথা স্বীকার করায় আশরাফুল ইসলাম সুটকাকে জুতাপেটাসহ আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা নওগাঁ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় সালিশের আয়োজক মাতবরদের কেন আসামি করা হয়নি জানতে চাইলে ওসি বলেন, “শিশুটির বাবা শুধু একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাই অন্য কাউকে আসামি করা হয়নি।”
এদিকে বুধবার দুপুরে নওগাঁ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার ‘সত্যতা পাওয়া গেছে’ বলে জানান এ দলের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শহীদ।
তিনি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা সালিশযোগ্য বিষয় নয়। যেসব ব্যক্তি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সালিশ করেছেন তারাও একই অপরাধের অপরাধী। এদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করা দরকার।”