দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার পর গত ৩ জানুয়ারি তৈমুরকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন তার প্রাথমিক সদস্য পদ ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে তৈমুর ও তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালকে ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত’ থাকার কারণে দল বহিষ্কারাদেশের চিঠি আলাদাভাবে পাঠায়।
দলের এই সিদ্ধান্ত এখনো কেউ টেলিফোনে জানায়নি বা কোনো চিঠি পাননি বলেও বুধবার দুপুরে জানান তৈমুর।
নারায়ণগঞ্জ নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজ বাসভবনে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। কর্মী থেকে তো বহিষ্কার করেনি। পদ থেকে বহিষ্কার করলেও দলের কর্মী-সমর্থক হিসেবে কাজ করে যাব।”
“দলের এই সিদ্ধান্তে আমার কারো প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি অনুগত থাকব। সামনের দিনগুলো খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এবং ইভিএমের বিরুদ্ধে প্রচার করব।”
অন্য কোনো দলে যাবেন না জানিয়ে তৈমুর বলেন, “অতীতের মতো খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকব। অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম না। রাজনীতি করতে গেলে একটা দল থাকতে হয়। কিন্তু পদ-পদবির দরকার হয় না। জনগণের অধিকার নিয়েই রাজনীতি করে যাব।”
এ সময় সদ্যসমাপ্ত নির্বাচন প্রসঙ্গে মেয়র পদের এই প্রার্থী বলেন, “ইভিএম মেশিনের ত্রুটির কারণে এই ফলাফল হয়েছে। ইভিএম হচ্ছে ভোট ডাকাতের বাক্স।”
এ সময় ইভিএমকে সমর্থন না করতে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তৈমুর।
পুরনো খবর