জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। গুলি বর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, "বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে।"
রোববার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশের কর্তব্যকাজে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারের অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০০ থেকে ৩০০ উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী হঠাৎ কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। কর্তব্যরত পুলিশের সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে টানাটানি করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করাসহ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ৩১টি শটগানের গুলি এবং ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রোববার সেই আন্দোলনের চতুর্থ দিনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
ওই সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অর্ধশত আহত হন।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকে নিজেদের ‘লজ্জা’ বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে শাবি শিক্ষক সমিতি স্তম্ভিত, মর্মাহত এবং লজ্জিত। নারকীয় এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে শাবি শিক্ষক সমিতি।”
আরও পড়ুন