মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে নগরীর অন্যতম বৃহৎ এ বাজারে সব দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
সকালে বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আজ সকালে সিটি বাজারে কাঁচাবাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি দোকানপাট বন্ধ। তাই বাজার না করেই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।”
তবে তিনি বলেন, “ব্যবসায়ী সমিতির দাবিগুলো যৌক্তিক। এত বড় একটা বাজার কোনো টয়লেট নেই! ক্রেতাদের কথা বাদ দিলেও ব্যবসায়ীদের জন্য তা থাকা উচিত।”
তিনি বলেন, “আমি একদিন বাজারে এসে বিপদে পড়েছিলাম। এতবড় বাজারে বাথরুম নেই। বাজার না করে সেইদিন আমি বাসায় গিয়ে বাথরুম করে আমাকে আবার বাজার করতে আসতে হয়েছে। তাই আমি মনে করি তাদের দাবি যৌক্তিক।”
সকালে বাজারের সামনে হরতালের ব্যানার টানিয়ে সিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা জামানের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে গেট নির্মাণের দাবি করে বলেন, প্রতি বছর সিটি বাজার থেকে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। অথচ গত ৩৫ বছরে অবহেলিত রংপুর সিটি বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করা হলেও আশানুরূপ কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আলী হোসেন (ছোট বাবু), সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার মোবাইলে কল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিয়ার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।