রোববার গভীর রাতে শহরের ধানবান্দি মহল্লার বি. এল. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিবি পুলিশের এসআই খোকন চন্দ্র সরকার জানান।
গ্রেপ্তার জনি হাজাম (২৩) শহরের কোলগয়লা মহল্লার মৃত আব্দুল মান্নান হাজামের ছেলে।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি রাতে শহরের কোলগয়লা মহল্লার মৃত শামসু খলিফার ছেলে সুমন খলিফাকে (২৪) একটি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল ও পাঁচটি তাজা হাতবোমাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ওই তিনজনের আরো একজন হলেন বায়েজিত, যিনি এখনও পলাতক রয়েছেন।
এসআই খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই সংঘর্ষের পর ভাইরাল হওয়া পিস্তলের ভিডিওর সঙ্গে উদ্ধারকৃত পিস্তলের মিল রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো ও ত্রাস সৃষ্টির জন্য পিস্তলটি প্রদর্শন করা হয়েছিল বলে আটক যুবলীগকর্মী সুমন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন।”
গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশ করে বিএনপি। ওই সমাবেশে যাওয়ার পথে সরকারি ডিগ্রি কলেজ সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষ চলাকালে ৩ যুবককে পিস্তল প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এ সংঘর্ষ এক পর্যায়ে শহরের কয়েকটি পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এসব ঘটনায় পুলিশ তিনটি, আওয়ামী লীগ কর্মী ও ছাত্রলীগ নেতারা তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে, যার তদন্ত করছে পিবিআই।
গ্রেপ্তার জনি হাজাম বিএনপির মামলার ৯০ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।