খালিশপুর থানার এসআই রেজওয়ান আহম্মেদ জানান, রোববার সন্ধ্যায় নগরীর বয়রা মহিলা কলেজের সামনে থেকে কাঁলা চান ওরফে সবুজ (৩৫) নামের ওই যুবককে আটক করেন তারা।
সবুজের বিস্তারিত নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
এসআই বলেন, “বয়রা মোড়ে ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা এক যুবককে ধরে রেখেছে। পরে তার কাছ থেকে বিদেশি একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সেখানে একটি অবিস্ফোরিত বোমাও পাওয়া গেছে।”
যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান শাওন বলেন, “রোববার সন্ধ্যার পরে বয়রা বাজার মোড়ে আমাকে লক্ষ্য করে দুটি মোটরসাইকেল থেকে গুলি করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মোটরসাইকেলে ছয়জন মুখোশ পরা ছিল। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালাতে চেষ্টা করে।
“এ সময় ধাওয়া খেয়ে মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক পড়ে গেলে স্থানীয়দের লোকজন তাকে ধরে ফেলে। এরপর পুলিশ সেখানে গেলে ওই যুবক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
শাওন জানান, তার বাবা, বড় ভাইকেও সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছিল। এ ঘটনার আগেও দুবার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসীরা।
খালিশপুর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গুলি ও দুটি অস্ত্রসহ কালা চান ওরফে সবুজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা শাওনের নামে হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। নগরীর আড়াইশো বেড পুজোখোলা এলাকায় এক ছেলেকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখায় স্থানীয়ভাবে সে ‘ট্যাংকি শাওন’ নামে পরিচিত।