এ সময় ওয়ান শুটারগান, গুলি, হাতবোমাসহ নানা ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি রুপন কুমার সরকার রোববার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির’ সদস্যরা এই হত্যকাণ্ড ঘটনায় বলে রুপন কুমার জানান।
আটকরা হলেন খুলনার ডুমুরিয়ার রুদাঘরা গ্রামের ইসহাক গোলদারের ছেলে ইকরামুল গোলদার ওরফে জুয়েল (১৯), দিঘলিয়া গ্রামের মৃত বিষ্ণুপদ মন্ডলের ছেলে বিজন কুমার মন্ডল ওরফে বিনোদ (৪২), সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের মৃত শিবপদ মন্ডলের ছেলে প্রশান্ত মন্ডল (৩৮), যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী পূর্বপাড়ার মৃত নিতাই বিশ্বাসের ছেলে প্রজিৎ বিশ্বাস ওরফে বুলেট (৪৬) এবং মণিরামপুরের সুজাতপুরের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্ত (২৪)।
এ নিয়ে এই ঘটনায় ছয় জনকে আটক করা হলো। এর আগে সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারকে তার গ্রাম হরিশপুরে রাস্তার উপর গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা।
যশোর জেলা ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার রবিবার জানান, ১০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাঠে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারকে গুলি করে হত্যা করে।
“ডিবি পুলিশ তদন্তে নেমে ১৫ জানুয়ারি রাত দেড়টা থেকে ১৬ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত যশোরের অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে আটক করেছে।”
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে রুপন কুমার সরকার বলেন, আটক সবাই ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট’ পার্টির সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে তাদের ‘দলীয় ছদ্মনাম’ ব্যবহার করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমুহের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, চাঁদাবাজি করে আসছিল।
“তারা ইতিপূর্বে আত্মসর্ম্পণ করে মুক্ত হয়ে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে সন্ত্রাসী সংগঠন চালু করেছে।”
আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলির খোসা, ৬ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ, একটি লোহার রড, একটি হাতবোমা, ১০ গ্রাম বোমা তৈরির পাউডার (গান পাউডার), ৫০ গ্রাম বোমা তৈরির তারকাটা, একটি এয়ারগান ও উত্তম হত্যায় ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন, ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার বিষয়ে এসআই শামীম হোসেন বাদী হয়ে অভয়নগর ও মনিরামপুর থানায় দুইটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও আটককৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি রুপন সরকার।