টাঙ্গাইল-৭: নিজেকে ভোট দিতে পারলেন না আ.লীগের প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকালে ৪টা পর্যন্ত টানা ই‌লেকট্রনিক ভো‌টিং‌ মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয় এই আসনে।

টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান ভোট শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে ৩৫ ভাগ ভোটার হয়তো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।”

নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, “এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি ক্ষমতাসীন দলের নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভোটার। ফলে এই আসনে তার কোনো ভোট নেই।”

বিষয়টি জানার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভকে সন্ধ্যায় মোবাইলে কল করলেও তিনি তা ধরেননি।

গত বছর ১৬ নভেম্বর চারবারের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে টাঙ্গাইল-৭ আসনটি শূন্য হয়।

সকাল থেকে সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, পোষ্টকামুরী আলহাজ শফি উদ্দিন মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও কুরনী জালাল উ‌দ্দিন উচ্চ বিদ্যাল‌য় কে‌ন্দ্রে স্বল্প সংখ্যক ভোটার।

একটি পৌরসভা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী; তবে মূল আলোচনা আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভকে নিয়ে। বিএনপি এ নির্বাচনে না আসায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুভর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী জহিরুল হক জহির।

বাকি প্রার্থীরা হলেন: বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি)।

এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন।তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন, নারী ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮ জন।তাছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫ জন।