তাদের অভিযোগ, এসব দাবিদাওয়ার কথা তারা আগেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষে তা আমলে নেয়নি।
অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে থেকে কিছু না বলেই শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করে মাঠে নেমে পড়েছেন।
রোববার বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অধ্যক্ষের রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে এই আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সব ধরনের ক্লাস বর্জন করেন তারা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে প্রথম দিনের মতো আন্দোলন স্থগিতও করেন তারা।
মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা আসায় তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপনী ব্যানার লাগানো হচ্ছে।
“এটা লজ্জার এবং হতাশাজনক। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ব্যানার অপসারণসহ সব দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে।”
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে ছাত্রী হোস্টেলের ক্যান্টিন সংস্কার, হোস্টেলের রিডিং রুম সুসজ্জিতকরণ, স্পোর্টস উইক আয়োজন প্রভৃতি।
কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জয়শ্রী রায় বলেন, “ক্যাম্পাসটি আমাদের বাড়ির মতো। কিন্তু এখানে আমরা ইচ্ছামতো চলতে পারি না। সন্ধ্যা হলেই বহিরাগতরা এসে আড্ডায় মেতে ওঠে। এছাড়া হোস্টেল ও কলেজের ক্যান্টিনের খাবারগুলো মানসম্মত না। আমরা আশা করছি প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।”
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপম সাহা এই আন্দোলনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
অনুপম বলেন, “শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় আন্দোলনে যেতে হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আন্দোলনে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাব। তবে অধ্যক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার মিটিংয়ে বসে তারপর সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ সব দাবি পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যেসব দাবিতে হঠাৎ করে আন্দোলনে নেমেছে তা আগে কোনো দিন বলেনি। বহিরাগত বলতে আমার-আপনার এবং শিক্ষার্থীদের স্বজনরাই আসে। তার পরও শিক্ষার্থীরা যেহেতু ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করেছে, সেহেতু তাদের সব দাবি পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে। তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।”