তিনি বলেছেন, “খুব সুন্দরভাবে আমি ভোট দিয়েছি ইভিএমে।… আমি ১০০ ভাগ নিশ্চিত, নৌকা ইনশাল্লাহ জিতবেই। কারণ এই শহরের মানুষের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক।”
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগের শিশুবাগ বিদ্যালয়ে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী আইভী। পরে বাইরে এসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
আইভী বলেন, “আমি জানি, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে বেছে নিয়েছে। তারা অলরেডি নির্ধারণ করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। ইনশাআল্লাহ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আইভীর জয় হবেই হবে, নৌকার জয় হবেই হবে। গণজোয়ারের জয় হবেই হবে।”
“যেটা সিদ্ধান্ত হবে, সেটাই মেনে নেব”, যোগ করেন দুইবারের মেয়র।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটদানে ধীর গতির খবর পাওয়ার কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী।
তিনি বলেন, “খবর পাচ্ছি স্লো ভোট হচ্ছে। ৫, ১৭, ১৮, ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
”এ ছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কদমতলিতে একটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার খবর পেয়েছি। পরে তারা জানিয়েছে, ঠিক করছে।”
এ সময় আইভী দাবি করেন, সব কেন্দ্রেই তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের এজেন্ট রয়েছে, বরং কোথাও কোথাও নৌকার এজেন্ট ছিল না।
শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তা জানান, এখানে পাঁচটি নারী ও পাঁচটি পুরুষদের বুথ রয়েছে। তিনতলা এ ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ভোটকেন্দ্র।
ভোট শুরুর আগেই ভোটাররা লাইন ধরে দাঁড়ান। সকাল ৮টায় এখানে ভোটগ্রহণ শুরু করেন ভোটকর্মীরা।
এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ২০৬৮ জন। এখানে আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছেন। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেছে।
মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নারায়ণগঞ্জ সিটির তৃতীয় এই নির্বাচনে।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট শেষে রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফল ঘোষণা করা হবে।