শনিবার সকালে ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে বৃষ্টি আক্তার (২২) নামে এই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে আশুলিয়া থানার এসআই তানিম আহমেদ জানান।
বৃষ্টি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার বাঁশকাটি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। তার স্বামী আসাদুল ইসলাম (২৮) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার নারায়ণপুর গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে।
আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় টেক্সটাউন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত এই দম্পতি।
আসাদুল ইসলাম যৌতুকের জন্য বৃষ্টিকে প্রায়ই চাপ দিতেন বলে পরিবার অভিযোগ করেছে।
এসআই তানিম বলেন, “নিহতের শ্যালক জানিয়েছেন, সকালে আসাদুল তাকে ফোন করে বলেছেন, ‘তোর বোনকে মেরে রেখেছি, এসে লাশ নিয়ে যা’। নিহত বৃষ্টির গলায় ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
লাশ বিছানার ওপর চাঁদর দিয়ে পেঁচিয়ে ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল জানিয়ে এসআই বলেন, কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। পারিবারিক কলহ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হত্যার খবর আসাদুল অন্যদেরও দিয়েছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
বৃষ্টির মামা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সকালে বৃষ্টির খালা আসমা বেগমকে ফোন করে আসাদুল জানায়, ‘বৃষ্টি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আপনারা তাকে নিয়ে যান।’ এই বলে আসাদুল ফোন বন্ধ করে দেয়।
“পরে তাদের বাসায় এসে জানতে পারি বৃষ্টিকে হত্যা করেছে আসাদুল।”
মোস্তাফিজুর বলেন, “আসাদুল যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন। এদিকে আসাদুলের পরকীয়া প্রেমের খবর জানতে পেরে বৃষ্টি প্রতিবাদ করে। এই ক্ষোভ থেকে আসাদুল বৃষ্টিকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।”
মাস দুই আগে আসাদুল ও বৃষ্টি কাঠগড়া এলাকার এই বাসায় ওঠেন বলে বাড়ির মালিক গুলবাহার বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তারা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন। তাদের স্বজনরা খুঁজতে এসে কক্ষ তালাবদ্ধ দেখে দরজার নিচ দিয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে দেখেন, বিছানায় চাঁদর দিয়ে পেঁচানো লাশ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে আসাদুলকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এসআই তানিম আহমেদ।