ভোটের আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এই বিএনপি নেতা আবারও নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ আনেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট নিয়োগসহ ভোট প্রদানে যেখানেই বাধা আসবে, সেখানেই লড়াই বাঁধবে। এটা অনেক পুরানো স্লোগান। আমরা বাঙালি, যেখানে বাধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ করবে।”
দুপুরে একই জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করে তৈমুর অভিযোগ করেছিলেন, শুক্রবার রাতে তার দলের কর্মী সমর্থকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ‘হেফাজতের মামলায় ও মাদক মামলায়’ গ্রেপ্তার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেছিলেন, এভাবে সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ নষ্ট হলে ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে’।
সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনেও স্বতন্ত্র এই প্রার্থী অভিযোগ করেন, “বিকাল ৫টার দিকে আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এটিএম কামালের বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে। তার গাড়ির চালক আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“কামাল নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে একটি গাড়ি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন থেকে। পুলিশ সেই গাড়ির চাবি নিয়ে গেছে।“
তবে এসব ঘটনায় ‘ভীত নন’ জানিয়ে তৈমুর বলেন, “আমরা মাঠে থাকব। আমার মৃত্যু হলে নির্বাচনের মাঠেই হবে।”
হাতি মার্কার এই প্রার্থী বলেন, “রাজনীতি করতে পদ লাগে না। জনসমর্থন লাগে, কর্মীবাহিনী লাগে। যাদের কাছে আমাদের অভিযোগ করার কথা, তারাই নির্বাচনকে কলুষিত করছে এবং সুষ্ঠু পরিবেশে বাধা সৃষ্টি করছে।
“আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন এবং যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের দেখেন। দেখবেন তাদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত থেকে আমি কাগজ নিয়ে এসেছি।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তৈমুর বলেন, “আপনারা ভয় পাবেন না। আমার নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে, আমিও মাঠে থাকব। আমরা মাঠে থেকে প্রতিরোধ করব।”