ভোটের আগের দিন শনিবার দুপুর থেকেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
গত বছর ১৬ নভেম্বর চারবারের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন মারা যান। এরপর নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।
উপ-নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী হয়েছেন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের খান আহমেদ শুভ, জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী (হাতুড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী শ্রীমতী রূপা রায়চৌধুরী (ডাব)।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে টাঙ্গাইল-৭ আসন গঠিত। এখানে মোট ভোটার তিন লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭০ হাজার ৫০১ এবং নারী এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। এছাড়া টাঙ্গাইল কটন মিলস উচ্চবিদ্যালয় (মহিলা কেন্দ্র) গোড়াইয়ে চারজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
মোট ১২১টি ভোটকেন্দ্রের ৭৫৬টি কক্ষে ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানান তারা।