প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে জেলার শেরপুরে বিশাল মাছের মেলা বসলেও মহামারী পরিস্থিতিতে গত দুই বছর তা বন্ধ ছিল। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় এ বছরও মাছের মেলা আয়োজন নিষিদ্ধ হয়। তাই এ বছর জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট পরিসরে মাছের হাট বসান মাছ ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার সরজমিনে দেখা যায়, জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার নতুন বাজারে মাছ ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছের ডালা সাজিয়ে বসেছিলেন। প্রায় ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ মেলায় তুলেছেন ব্যবসায়ী মফিজ মিয়া; যার দাম হেঁকেছেন ৬০ হাজার টাকা। বিশাল আকৃতির ওই মাছ দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করেন মফিজ মিয়ার দোকানের সামনে। পরে মাছটি ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন মফিজ মিয়া।
আব্দুল মালিক নামের আরেক ব্যবসায়ী ১৯ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছের দাম হেঁকেছিলেন ৪০ হাজার টাকা। পরে মাছটি তিনি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
শ্রীমঙ্গল সবুজ বাগ এলাকার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী জানান, এই মেলা থেকে অনেকে বড় বড় মাছ কিনে আত্মীয় স্বজনদের উপহার দেন। এর মধ্যে দিয়ে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সৃষ্টি করে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, পৌষ সংক্রান্তির উপলক্ষ্যে মাছের হাট এ অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই মাছের মেলায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে বড় মাছ আনেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় এ বছর মেলা নিষিদ্ধ ছিল। তাই ব্যবসায়ীরা হাটে মাছ তুলেছেন এবং ক্রেতারা ক্রয়ও করেছেন।