জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলম শুক্রবার বলেন, “একাধিক প্রার্থী না থাকায় মনোহরগঞ্জের কোনো ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।”
“এ ছাড়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৯৯টি সাধারণ সদস্য পদের মধ্যে ৮৮ জন এবং ৩৩টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের মধ্যে ৩০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার তাদেরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে,” যোগ করেন এই নির্বাচন কর্মকর্তা।
তারা হলেন- ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নে আশিকুর রহমান হাওলাদার, নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নে আবদুল মান্নান চৌধুরী, বিপুলাসার ইউনিয়নে ইকবাল মাহমুদ, ঝলম উত্তর ইউনিয়নে আবদুল মজিদ খান রাজু, উত্তর হাওলা ইউনিয়নে আবদুল হান্নান হিরণ, খিলা ইউনিয়নে আল আমিন ভূঁইয়া ও মৈশাতুয়া ইউনিয়নে মফিজুল রহমান।
বাকি চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীতসহ মোট নয়জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে পাঁচজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এতে চারটি ইউনিয়নেও একমাত্র প্রার্থী হিসেবে থাকেন আওয়ামী লীগ মনোনীতরা।
ফলে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মণপুরে মহিন উদ্দিন চৌধুরী, হাসনাবাদে কামাল হোসেন এবং সরসপুরে আবদুল মান্নানের বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম আরো বলেন, প্রত্যাহারের পর এখন শুধু বিপুলাসার ইউনিয়নে নয়টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ ছাড়া উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে এবং ঝলম উত্তর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি এসব ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে বলে জানান মঞ্জুরুল।
এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন মিয়ার সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গত ১৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ধাপে মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউপির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়। ১৩ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৪০ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ১৩৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।