বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা মামলা করেছেন বলে নাটোর থানার ওসি মুনছুর রহমান জানিয়েছেন।
ওসি মামলা নথির বরাতে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৬ বছরের এই কিশোরী নলডাঙ্গা উপজেলার বাড়ি থেকে থেকে অটোরিকশায় করে সদর উপজেলায় নানাবাড়ি যাচ্ছিল। পথে অটোরিকশা থেকে নেমে নানাবাড়ির পথ চিনতে পারেনি। বিষয়টি টের পেয়ে কয়েকজন তাকে নানাবাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। তারা তাকে ছাতনি শশ্মানের পাশে লেবুবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সাতজন তাকে মুখ চেপে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। পরে কান্না শুনে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে নাটোর থানায় নিয়ে তার কথা শোনে। পরে চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি মুনছুর।
পরে কিশোরীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ছাতনি এলাকার শরিফুল ইসলাম (২৮), শহিদুল ইসলাম (২৪), কাজল হোসেন (২৫), আমিনুর মিয়া (৪০) ও আস্তুল হোসেন (৩৮)।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মুনছুর রহমান।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তিনজন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।