হল প্রভোস্টের ‘অসদাচরণ’: আলোচনায় ‘সমাধান মেলেনি’, ফের বিক্ষোভে শাবি ছাত্রীরা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগসহ তিনদফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার পর সমাধান না পেয়ে ফের বিক্ষোভ করেছেন ওই হলের ছাত্রীরা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যলয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2022, 11:23 AM
Updated : 14 Jan 2022, 11:23 AM

শুক্রবার বেলা ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসিক ভবন -১ এর উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করে ওই হলের শতাধিক ছাত্রী বিক্ষোভ করেন।

এর আগে বেলা ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে তিন দফা দাবি লিখিতভাবে জমা দেন ছাত্রীরা। দাবিগুলো হল- প্রভোস্ট কমিটিকে পদত্যাগ করতে হবে, হলের সব ধরনের অব্যবস্থাপনা দূর করে সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট নিয়োগ দিতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানান, লিখিত দাবির প্রেক্ষিতে বেলা ১২টায় ছাত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলকে ডেকে পাঠান উপাচার্য।

কিন্তু প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক ঘণ্টা আলাপ করেও কোনো সুষ্ঠ সমাধান দিতে পারেননি উপাচার্য। পরে শতাধিক আবাসিক ছাত্রী উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপরও দাবির আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

এর আগে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ওই হলের ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলে।

বিক্ষোভ চলাকালে রাত দুইটার দিকে উপাচার্য বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের সমস্যার কথা শোনেন।

ছাত্রীরা এ সময় হলের অব্যবস্থাপনা নিরসন, প্রভোস্টের পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়াসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এ সময় অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও সিরাজুন্নেসা হলের ছাত্রীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।

সে সময় উপচার্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে রাত আড়াইটার দিকে ছাত্রীরা হলে ফিরে যান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের পানি, সিট, ইন্টারনেট সংযোগ, খাবারসহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হলের রিডিং রুমে ছাত্রীরা আলোচনা করেছিলেন। আলোচনা শেষে ছাত্রীরা হল প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদকে ফোন করে এসব সমস্যার কথা জানান এবং অল্প সময়ের জন্য হলে আসার অনুরোধ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক অনুরোধের পরও প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ তাতে রাজি হননি উল্টো তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন “কেউ তো মরেনি। বের হলে বের হয়ে যাও, কোথায় যাবা? আমার এতো ঠেকা পড়েনি।”

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, "কিসের জরুরি? কেউ তো আর মারা যায়নি।"

এ ঘটনার পর পরই ছাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রথমে রাত ৯টার দিকে হলের সামনে এবং পরে সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।