উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্র বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগ তোলে। তবে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী তার বাসায় পর্যবেক্ষণে আছে, তার ভেতরে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা নিতে বৃহস্পতিবার সকালে তার সহপাঠীদের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। উপজেলার মোট সাতটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয় সেখানে।
বেলা ১১টার দিকে কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে টিকা নেয় ওই ছাত্র। বেরিয়ে এসে সে অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে দাবি করে, দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী তার এক হাতে ‘তিনবার টিকা পুশ করেছে’।
হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ জানান, তার ছাত্র অভিযোগ করার পর বিষয়টি তারা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য।
চাটখিলের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ওই কিশোরকে টিকা দিয়েছেন দিদার হোসেন নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ ওঠায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
“যেটুকু ধারণা পাওয়া গেছে, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগ জানার পর টিকাদানকর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার টিকা দেওয়ার সময় ছেলেটি জোরে হাত নাড়ে, ফলে টিকার তরল অংশ পড়ে যায়। তখন টিকাদানকর্মী তাকে আরেকটি নতুন টিকা দেন।
“তিনটি টিকা দেওয়ার যে অভিযোগ শিক্ষার্থী করেছে, সেটি ঠিক নয়। স্বাভাবিক নিয়মে এমনটি হওয়ার সুযোগ খুবই কম।”
তারপরও বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, “সে এখন বাড়িতে আছে এবং ভালো আছে। ৭২ ঘণ্টা তাকে পরর্যবেক্ষণে রাখা হবে।”