বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান।
নুরুল ইসলাম (৭০) নামের এই ব্যক্তি খুলনা নগরের ফারাজিপাড়ার বাসিন্দা।
গত ৯ জানুয়ারি কোভিড শনাক্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে আমাদের দেশেও কোভিড শনাক্তের হার বেড়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা জারি করেছে।
সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর এই ইউনিটে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানান ডা. সুহাস।
তিনি বলেন, তিন মাসের মতো করোনা হাসপাতালে তেমন কোনো রোগী ছিল না। সম্প্রতি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
“এখন এই হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি আছেন, যাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত আছেন একজন ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ১৩ জন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) কোনো রোগী নেই।”
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত খুলনাসহ বিভাগের ১০ জেলায় মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ১৯৫ জন। শুধু খুলনা জেলায় মারা গেছেন ৮০৯ জন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত খুলনা জেলায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন নয় জন। একই সময়ে বিভাগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন।
যশোরে ১৬ জন, কুষ্টিয়ায় ১৩ জন, খুলনায় ৯ জন, ঝিনাইদহে ৭ জন, সাতক্ষীরা ও নড়াইলে তিনজন করে, বাগেরহাটে দুইজন ও মেহেরপুরে একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুলনা নগরে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মাস্ক না থাকায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অভিযানে ২৫ জনকে ১১ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে আরও একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে।