এ সময় তার কাছে পাঁচটি তাজা হাতবোমা ও একটি খেলনা পিস্তল পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে শহরের মাছিমপুর থেকে তাকে আটক করা হয় বলে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের এস আই খোকন চন্দ্র সরকার জানান।
আটক সুমন খলিফা (২৪) জেলা শহরের কোলগয়লা মহল্লার মৃত শামসু খলিফার ছেলে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দলের কর্মসূচিকে ঘিরে শহরের কয়েকটি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ওই সংঘর্ষের সময় অস্ত্র ব্যবহারকারী কয়েকজন যুবকের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এস আই খোকন চন্দ্র সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সুমনকে আটক করার সময় তার কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
এস আই খোকন বলেন, সংঘর্ষের পর ভাইরাল হওয়া ছবির পিস্তলের সঙ্গে উদ্ধারকৃত পিস্তলের মিল রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির জন্য ওই খেলনা পিস্তলটি প্রদর্শন করা হয়েছিল বলে আটক ‘যুবলীগকর্মী’ সুমন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনায় আটক সুমনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই সমাবেশে যাবার পথে সরকারি ডিগ্রি কলেজ সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষ চলাকালে তিন যুবককে পিস্তল হাতে দেখা যায়। সংঘর্ষ এক পর্যায়ে শহরের কয়েকটি পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি এবং আওয়ামী লীগকর্মী ও ছাত্রলীগ নেতারা আরও তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপিও আদালতে একটি মামলা করেছে, যা পিবিআই তদন্ত করছে।
পুলিশ এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে।