‘কেন্দ্র দখল ঠেকাতে ও ভোটের পাহারায়‘ নিজস্ব কমিটির ঘোষণার দেওয়ার একদিন পর বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র এই প্রার্থী দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকেও নির্বাচন ‘পর্যবেক্ষণে’ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কিল্লারপুরে গণসংযোগ করেন তৈমুর। সেখানে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশি দূতাবাসে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ করব, আপনারা নির্বাচনের দিন মাঠে থাকেন।”
”দেশি-বিদেশি মিডিয়ার উদ্দেশে বলব, আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমার দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে।”
“বুধবার রাতে ১০-১৫ জন পুলিশ আমার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা এমনিতেই বিরোধী দলের প্রার্থী, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা তো আছেই। এখনো গায়েবি মামলার হয়রানি কাটেনি। গত কয়েকদিনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে মানুষের মানসিক অবস্থা কী দাঁড়ায়?”
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তৈমুর আলম বলেন, গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ না হলে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “১৬ তারিখ ভোটের পর আপনি আইন যা বলে তা করবেন। কিন্তু নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হতে দেন। সুষ্ঠুভাবে যে নির্বাচন হচ্ছিল সেটা বাধাগ্রস্ত হতে দেবেন না।”
নগরবাসীকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তৈমুর বলেন, “নতুন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করে পদ্ধতিটাকে জানুন।”
ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ী হওয়ার বিষয়েও আশা প্রকাশ করেন তৈমুর।
১৬ জানুয়ারির ভোটে তৈমুরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী; যিনি পরপর দুবার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।