যশোরে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য হত্যা: প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রেপ্তার

যশোরের অভয়নগরে সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য উত্তম সরকার হত্যায় নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার উত্তম সরকার হত্যার পরপরই সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিককে হেফাজতে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানান এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিলন কুমার মন্ডল।

এদিকে, নিহত ইউপি সদস্যের স্ত্রী শ্রাবন্তী সরকার মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিক ও উত্তম সরকার। নির্বাচনে ৬১ ভোটে অর্ধেন্দু মল্লিককে পরাজিত করেছিলেন উত্তম সরকার।

এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিককে আটক করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

তবে পরবর্তী কোন তারিখ রিমান্ড শুনানি হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

যশোরে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা  

মিলন কুমার মন্ডল জানান, মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারের স্ত্রী শ্রাবন্তী সরকার। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনে সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিককে ৬১ ভোটে পরাজিত করে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন উত্তম। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে উত্তম সরকারকে খুন করা হতে পারে।

পরিদর্শক মিলন বলেন, দ্রুত এ মামলার রহস্য উম্মোচন করে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারকে সোমবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে বাড়ি ফেরার পথে তার গ্রাম হরিশপুরে রাস্তার উপর গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা।