নিহতরা হলেন জেলার ধর্মপাশা উপজেলার টান মেউয়ারি গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৬০) ও তার স্ত্রী স্বাধীনা বেগম (৫৫)।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে তারা মারা যান বলে জেলার ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরী জানান।
ধর্মপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ বলেন, এই দম্পতির পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে চার মেয়ের বিয়ে হয়ে হয়ে গেছে। আর ছেলেটি নবম শ্রেণিতে পড়ে।
“দুপুরে ছেলে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে যায়। বেলা ১২টার দিকে এক ব্যক্তি ছেলেকে ফোন করে জানায়, ঘরের দরজা আটকে তার মাকে মারধর করছেন তার বাবা। ছেলে দ্রুত বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। ডাকাডাকি করে মা-বাবার সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের জানায় ছেলে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘরের দরজা খুলে মর্মান্তিক দৃশ্য দেখতে পায়।”
খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরীসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি বলেন, “আমরা দরজা ভেঙে ঘরে গিয়ে স্বাধীনা বেগমের ক্ষতবিক্ষক মরদেহ আর বাচ্চু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।”