কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোরের দিকে সীমা জোহরা (২১) নামে এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
সীমা ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বথগ্রাম জেলার যাবারপুরের গোলাম মোহাম্মদের মেয়ে। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন বলেন, “মঙ্গলবার রাতে সীমা বাথরুমে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরও ফিরে না আসায় একজন রুমমেট খোঁজ নিতে যায়। সে বাথরুমের ওপর দিয়ে সীমাকে সিলিংয়ে ঝুলতে দেখে। তাকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
যশোর শহরতলির পুলেরহাটের এই ক্যাম্পাসে শুধু ছাত্রী ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনটি হোস্টেলের মধ্যে দোতালা একটা হোস্টেলে থাকেন বিদেশি ছাত্রীরা। বর্তমানে সেখানে ৮৪ জন বিদেশি ছাত্রী রয়েছেন বলে জানান অধ্যক্ষ।
যশোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, ভোরের দিকে সীমাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
মেডিকেল কর্তৃপক্ষও আত্মহত্যার কারণ বলতে পারেনি।
তবে সীমার রুমমেটদের বরাতে অধ্যক্ষ বলেন, সীমা এক রুমে অন্য চার ছাত্রীর সঙ্গে থাকতেন। ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল সীমার। মঙ্গলবার তার পরীক্ষা ভাল হয়নি বলে রুমমেটরা জানিয়েছে।
মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ।
কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্তের তথ্যে বলেন, “সীমা বাথরুমের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভারতীয় হাই কমিশনার অনুমোদন দিলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।”