মঙ্গলবার বিকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান।
এই নিয়ে এই ঘটনায় চারজন ধরা পড়ল। এর আগে এক নারীসহ তিনজন আটক হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদ হোসেন বলেন, প্রথমে মামলার তিন আসামিকে আটক করা হয়। প্রধান আসামি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে লঞ্চঘাট থেকে শিমুলকে আটক করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, “ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। সবশেষ আমরা মূল আসামিকেও আটক করেছি।”
খুব তাড়াতাড়ি এই ঘটনার তদন্ত শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নে ৯ জানুয়ারি স্কুলে থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে আসামিরা দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।
পরে মেয়েটি ‘কৌশলে ছাড়া পেয়ে’ বাড়ি গিয়ে জানালে সন্ধ্যায় তার মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আরো তিনি আসামি ইজাজ হোসেন (২৩), সাব্বির হোসেন (২৬) ও লিপি বেগম (৩২) আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার রাতে লিপি বেগম এবং সোমবার সকালে ইজাজ ও সাব্বিরকে আটক করা হয়।