মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঢালারচর এলাকায় সবুজ হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
সবুজ বিকালে গণমাধ্যমকে বলেন, “মাছটির ওজন ছিল ১৩ কেজি ২০০ গ্রাম। কেজিপ্রতি এক হাজার ৩৫০ টাকা দরে মোট ১৭ হাজার ৮২০ টাকায় দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নিয়েছেন।”
পরে শাহজাহান শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “মাছটি কেনার পর মোবাইলে ঢাকার বিভিন্ন আড়তে যোগাযোগ করি। বিকালে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে কেজিপ্রতি এক হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। মোট ১৮ হাজার ৪৮০ টাকা দাম পেয়েছি। আমি কেজিতে ৫০ টাকা করে লাভ পেয়েছি।”
ভোরে সঙ্গীদের নিয়ে পদ্মায় জাল ফেলার কথা জানিয়ে জেলে সবুজ হালদার বলেন, “সকাল ১০টার দিকে জাল তুলে বিশাল মাছটি দেখতে পাই। অনেকদিন পর অনেক বড় একটি মাছ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে, আনন্দ হচ্ছে। মাছটির ভালো দামও পেয়েছি।”
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, “মিঠা পানির সুস্বাদু এত বড় মাছ নদীতে এখন কমই দেখা যায়। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকাওয়ালা ঘাইলা বেড়জালে ধরা পড়ে।”
আগামী প্রজন্মের জন্য স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরও বেশি মাছ পাওয়া যেত বলে অভিমত এই মৎস্য কর্মকর্তার।