সোমবার জেলা শহরের মির্জা আজম অডিটোরিয়াম টিকাকেন্দ্রে মো. রাহিম (১৩) নামে ওই শিক্ষার্থীকে তিন ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানিয়েছেন।
রাহিম শহরের বগাবাইদ উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সে বগাবাইদ এলাকার অটোরিকশা চালক শাকির হোসেনের ছেলে।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক নাজমুন নাহার জানান, সকালে রাহিমসহ বিভিন্ন শ্রেণির শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক ওই টিকাকেন্দ্রে যান। শিশুদের টিকা দেওয়ার সময় ওই দুই শিক্ষক টিকাকেন্দ্রের বাইরে ছিলেন।
তিনি বলেন, রাহিমকে তিন ডোজ টিকা দেওয়ার কথা শুনে তিনি সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করেছেন। সিভিল সার্জন রাহিমের স্বাস্থ্যগত দিক নিয়মিত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থাসহ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
রাহিমের দাদা সাহাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তার নাতিকে একদিনে তিনটি টিকা দেওয়া হয়েছে। কোনো ক্ষতি হলে এর দায় স্বাস্থ্য বিভাগকেই নিতে হবে।
রাহিমের মা রুবিনা বেগম জানান, তার ছেলে এবারই প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা নিতে যায় স্কুল থেকে। একদিনে তিনটি টিকা দেওয়ায় তিনি চিন্তায় রয়েছেন।
রাহিমের বাবা বলেন, রাহিম তাকে তিন ডোজ টিকা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে রাহিম এখন ভালো আছে।
সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস বলন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে জরুরি ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের এ কমিটিতে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আবু আহমদ সাফীকে প্রধান করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাহিমের বিষয়ে তিনি বলেন, “তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত সে সুস্থ আছে।”
তাকে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।