শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
আলাউদ্দিন কবিরাজ (৩২) নামের ওই প্রার্থী গুণাইঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী।
এই বিষয়টি জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলমের নজরে আসেনি বলে জানান; কেউ অভিযোগ করলে তাতে বিধি ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান।
ফেইসবুক স্ট্যাটাসে আলাউদ্দিন কবিরাজ লেখেন, “গুণাইঘর উত্তর ইউনিয়ন থেকে মেম্বার হলে, সাপ ধরা ফ্রি, সিঙ্গা লাগানো ফ্রি, পোকা খোলা ফ্রি করে দেব। মোটকথা ওঝা-কবিরাজি কাজগুলো ফ্রি করে দেবো, মাদক সন্ত্রাস দমন করব।”
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলাউদ্দিন গুণাইঘর গ্রামের বেদে বাড়ির মোহাম্মাদ মিয়া হোসেন বেদে সর্দারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ বেদে সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি।
ওই এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির ও ন্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ইব্রাহিম মোল্লা জানান, ওই ওয়ার্ডে মেম্বার পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী আছেন। তবে আলাউদ্দিন কবিরাজের প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতি সবার চেয়ে ভিন্ন রকম। তিনি সাপ ধরে এবং কবিরাজি করে সংসার চালান।
জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, “ওই মেম্বার প্রার্থীর এমন ঘোষণার বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগও করেনি।”
“অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে দেখব, এমন প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সপ্তম ধাপে আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি ওই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।